সদ্য জন্ম নেয়া শিশুর ইনফেকশন এড়াতে কী করবেন?

নবজাতক শিশুর সংক্রমণ প্রতিরোধ করা খুবই জরুরি, কারণ তাদের ইমিউন সিস্টেম এখনও সম্পূর্ণরূপে বিকশিত হয়নি। সঠিক যত্ন এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার মাধ্যমে নবজাতকের সংক্রমণ প্রতিরোধ করা সম্ভব। নিচে কিছু প্রধান উপায় আলোচনা করা হলো:

হাত ধোয়া

নবজাতকের সাথে স্পর্শ করার আগে এবং পরে অবশ্যই হাত ধুতে হবে। পরিবারের সদস্য এবং যারা নবজাতকের যত্ন নেন তাদেরও এই নিয়ম মেনে চলা উচিত। হ্যান্ড স্যানিটাইজারও ব্যবহার করা যেতে পারে।

পরিষ্কার পরিবেশ

নবজাতকের আশেপাশের পরিবেশ সবসময় পরিষ্কার রাখতে হবে। নবজাতকের বিছানা, পোশাক, খেলনা এবং অন্যান্য ব্যবহৃত জিনিসপত্র নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। নবজাতকের আশেপাশে ধুলা-ময়লা জমতে না দেওয়া উচিত।

নবজাতকের পোশাক ও জিনিসপত্র

নবজাতকের পোশাক এবং অন্যান্য ব্যবহার্য জিনিসপত্র পরিষ্কার এবং জীবাণুমুক্ত রাখতে হবে। নতুন বা ব্যবহৃত যে কোনো পোশাক প্রথমে ধুয়ে নেওয়া উচিত।

নাভির যত্ন

নবজাতকের নাভির গোড়া সবসময় পরিষ্কার এবং শুষ্ক রাখতে হবে। নাভির যত্নের সময় অ্যান্টিসেপটিক লোশন বা অ্যালকোহল সোয়াব ব্যবহার করা উচিত।

সঠিক ফিডিং পদ্ধতি

নবজাতককে শুধুমাত্র মায়ের দুধ খাওয়ানোর চেষ্টা করা উচিত, কারণ মায়ের দুধে নবজাতকের ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করার জন্য প্রয়োজনীয় অ্যান্টিবডি থাকে। যদি ফর্মুলা ফিডিং করতে হয়, তাহলে সব সরঞ্জাম পরিষ্কার এবং জীবাণুমুক্ত করা উচিত।

ভ্যাকসিন প্রদান

নবজাতকের জন্য প্রয়োজনীয় ভ্যাকসিন সময়মতো প্রদান করতে হবে। ভ্যাকসিন বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সহায়ক এবং নবজাতকের ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করে।

নবজাতকের চোখের সুরক্ষা

নবজাতকের চোখের সুরক্ষার জন্য জন্মের পর অ্যান্টিবায়োটিক অয়েন্টমেন্ট বা ড্রপ ব্যবহার করা উচিত, যা চোখের সংক্রমণ প্রতিরোধে সহায়ক।

নবজাতকের সঙ্গে সংস্পর্শে থাকা ব্যক্তিদের স্বাস্থ্য

নবজাতকের সঙ্গে সংস্পর্শে থাকা ব্যক্তিদের সুস্থ থাকা জরুরি। যেকোনো অসুস্থ ব্যক্তি নবজাতকের কাছাকাছি আসা থেকে বিরত থাকতে হবে।

জনাকীর্ণ স্থান এড়ানো

নবজাতকের জন্মের পর প্রথম কয়েক সপ্তাহ জনাকীর্ণ স্থান থেকে দূরে রাখা উচিত, কারণ এই সময়ে নবজাতক বিভিন্ন রোগের সংক্রমণের ঝুঁকিতে থাকে।

সঠিক বাথিং পদ্ধতি

নবজাতকের গোসলের সময় হালকা উষ্ণ পানি এবং মৃদু সাবান ব্যবহার করা উচিত। গোসলের পর নবজাতককে ভালভাবে শুকিয়ে নিতে হবে এবং ত্বকের ভাঁজগুলো ভালোভাবে মুছে নিতে হবে।

মাস্ক ব্যবহার

যদি পরিবারের কোনো সদস্য ঠান্ডা, সর্দি বা ফ্লু তে আক্রান্ত হন, তাহলে নবজাতকের কাছাকাছি আসার সময় মুখে মাস্ক ব্যবহার করা উচিত।

উপরে উল্লেখিত ইনফেকশন প্রতিরোধের উপায়গুলো মেনে চললে নবজাতক শিশুর সংক্রমণের ঝুঁকি কমানো সম্ভব হয় এবং তার সুস্থতা নিশ্চিত করা যায়। সঠিক যত্ন এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নবজাতকের সুস্থতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

Related Posts

সর্বশেষ পোস্ট

সর্বাধিক পঠিত পোস্ট

Scroll to Top